তাওহিদ
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর,যিনি এক, যার কোন শরিক নেই। যিনি অমুখাপেক্ষী, যার কোন সমকক্ষ নেই।
এবং পরিপূর্ণ সালাত ও সালাম সাহিবুস সাইফ, তাওহিদের পথ নির্দেশক নবি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ এবং তাঁর সাথি ও পরিবারবর্গের উপর।
এবং পরিপূর্ণ সালাত ও সালাম সাহিবুস সাইফ, তাওহিদের পথ নির্দেশক নবি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ এবং তাঁর সাথি ও পরিবারবর্গের উপর।
তাওহিদ হল একমাত্র মাথা মূল বিষয়,যার ভিত্তিতে সৃষ্টি হয়েছে কুল কায়েনাত, প্রেরিত হয়েছে অসংখ্য নবি-রাসুল তাওহিদের বাণী প্রচারে। যার জন্য মানুষ বিভক্ত দুভাগে। সৌভাগ্যশালী ও অভাগা, জান্নাতি ও জাহান্নামি।
তাওহিদের পরিচয়:-
তাওহিদ এটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হল একত্ববাদ, একেশ্বরবাদ, আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী।
পরিভাষায় তাওহিদ বলা হয়,
আল্লাহকে তাঁর সুমহান জাত (সত্তা) সর্ব সুন্দর নাম ও সিফাতে (গুণরাজী-বৈশিষ্ট্যে) এবং তাঁর অধিকার, কর্ম ও কর্তৃত্বে এক, একক ও অদ্বিতীয় ঘোষণা ও সাব্যস্ত করা। এবং এসব ক্ষেত্রে নিজের কথা, কাজ ও বিশ্বাসের দ্বারা আল্লাহর একত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা।
পরিভাষায় তাওহিদ বলা হয়,
আল্লাহকে তাঁর সুমহান জাত (সত্তা) সর্ব সুন্দর নাম ও সিফাতে (গুণরাজী-বৈশিষ্ট্যে) এবং তাঁর অধিকার, কর্ম ও কর্তৃত্বে এক, একক ও অদ্বিতীয় ঘোষণা ও সাব্যস্ত করা। এবং এসব ক্ষেত্রে নিজের কথা, কাজ ও বিশ্বাসের দ্বারা আল্লাহর একত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা।
তাওহিদের কালিমা:-
তাওহিদের কালিমা হল:
لاَ اِلٰهَ إِلَّا اللّٰه
لاَ اِلٰهَ إِلَّا اللّٰه
অর্থ, আল্লাহকে ছাড়া কোন ইলাহ নেই।
এর রয়েছে দুটি রুকন-
১. কুফর বিত ত্বাগুত তথা তাগুতকে অস্বীকার করা।
২. ঈমান বিল্লাহ তথা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা।
১. কুফর বিত ত্বাগুত তথা তাগুতকে অস্বীকার করা।
২. ঈমান বিল্লাহ তথা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা।
কোন কোন আলেম কালিমাতুত তাওহিদের আরো রুকন সাব্যস্ত করে থাকেন। কেউ আবার তাওহিদের প্রকার গুলোকে রুকন বলে থাকেন।
তাওহিদের প্রকারভেদ -
তাওহিদ তিন প্রকার। যথা-
১. তাওহিদুর রুবুবিয়্যাত।
২. তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ।
৩. তাওহিদুল আসমা ওয়াস সিফাত।
১. তাওহিদুর রুবুবিয়্যাত।
২. তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ।
৩. তাওহিদুল আসমা ওয়াস সিফাত।
তাওহিদুর রুবুবিয়্যাত
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা খালেক- স্রষ্টা,তিনিই আসমান যমিনের সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। এবং সব কিছুর তিনিই লালনপালন ও পরিচালনাকারী সাব্যস্ত করা। যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেন,
اللًٰه خالق كل شيء وهو بكل شيء عليم...
অর্থ, আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা এবং তিনিই সবকিছুর কর্মবিধায়ক। #যুমার-৬২
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা খালেক- স্রষ্টা,তিনিই আসমান যমিনের সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। এবং সব কিছুর তিনিই লালনপালন ও পরিচালনাকারী সাব্যস্ত করা। যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেন,
اللًٰه خالق كل شيء وهو بكل شيء عليم...
অর্থ, আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা এবং তিনিই সবকিছুর কর্মবিধায়ক। #যুমার-৬২
তিনি আরো বলেন,
قل اللهم مالك الملك تؤتي الملك من تشاء و تنزع الملك ممن تشاء و تعز من تشاء و تذل من تشاء بيدك الخير إنك على كل شيء قدير★
تولج الليل في النهار و تولج النهار في الليل و تخرج الحي من الميت و تخرج الميت من الحي و ترزق من تشاء بغير حساب★
قل اللهم مالك الملك تؤتي الملك من تشاء و تنزع الملك ممن تشاء و تعز من تشاء و تذل من تشاء بيدك الخير إنك على كل شيء قدير★
تولج الليل في النهار و تولج النهار في الليل و تخرج الحي من الميت و تخرج الميت من الحي و ترزق من تشاء بغير حساب★
অর্থ, বলো হে রাজাধিরাজ আল্লাহ! আপনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যার নিকট হতে ইচ্ছা ক্ষমতা ছিনিয়ে নেন। যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন, কল্যাণ তো আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
আপনি রাতকে দিনের মাঝে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মাঝে প্রবেশ করান। আর মৃত হতে জীবিতকে বের করেন এবং জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন। আর যাকে চান বিনা হিসাবে রিযিক দান করেন।
#আলইমরান-২৬-২৭
আপনি রাতকে দিনের মাঝে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মাঝে প্রবেশ করান। আর মৃত হতে জীবিতকে বের করেন এবং জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন। আর যাকে চান বিনা হিসাবে রিযিক দান করেন।
#আলইমরান-২৬-২৭
এবং আরো আয়াতে কারিমা রয়েছে তাঁর রুবুবিয়্যাত সম্বলিত।
কোন মন্তব্য নেই